এমন সব মানুষজন, যারা ‘দেশ’, ‘জাতি’র ‘প্রেমে’ অস্থির, আত্মপরিচয়জ্ঞান যাদের জবরদস্তিমূলক আত্মাভিমানে পৌছাইছে, যারা নিজেদেরকে জগতের শ্রেষ্ঠ এবং ‘মনোনীত’ বিবেচনা করতেছেন, এই অলীক শ্রেষ্ঠত্বের অভিমানে অন্যের উপর এবং নিজ পরিচয়রাজনীতির কারনেই সৃষ্ট নিজ পরিচয়গোষ্ঠীর প্রান্তিক মানুষদের উপর জুলুম করতেছেন নিজেদের রাষ্ট্র বা রাষ্ট্রপ্রকল্প বা অন্যান্য সামাজিক মেশিন দিয়া, কিন্তু পরিচয়রাজনীতির সংকট নিয়া আলাপ করতেছেন না, পর্যালোচনা করতেছেন না পরিচয়ের আপতিকতা, বর্তমানতা ও পরিবর্তনশীলতার , পরিচয়বাদ/ জাতীয়তাবাদ/ জাতিরাষ্ট্র – সীমানা মডেলের, খুঁজে পাইতেছেননা পশ্চিমা ঔপনিবেশিক আধুনিকতার ভূমিকা, পুঁজিবাদের ভূমিকা, আলাপ করতেছেন না নিজেদের চিন্তা- জ্ঞান- কল্পনা- আকাঙ্ক্ষার ওপর পশ্চিমা ঔপনিবেশিক আধুনিকতার ভূমিকা ও আধিপত্য নিয়্যা।

‘সেক্যুলার’/ ‘এন্টি’/’পোষ্ট’/ ‘নন- সেক্যুলার’ নির্বিশেষে এই ‘দেশ’/’জাতি’ প্রেমিকরা সবাই পশ্চিমা ঔপনিবেশিক আধুনিকতা, তার পুঁজিবাদ ও রাষ্ট্রধারণার ছায়ায় বেড়ে ওঠা সম্প্রদায়বাদী, শতাংশের বড়াইবাদী, ব্রাহ্মণ্য আর আশ্রাফত্ববাদী, সমরুপতাবাদী, কেন্দ্রবাদী, আধিপত্যবাদী, জাতীয়তাবাদী/ জাতি ও অন্যান্য পরিচয়ভিত্তিক রাষ্ট্রবাদী/ সীমানাবাদী, উন্নয়ন আর পুঁজিবাদী তো বটেই।

এই কাঠামোগুলার বাইরে কাউরে এখনো পাইলাম না উনাদের মধ্যে।

এনারা ‘মানুষ’ আর ‘সমাজ’কে, ‘দেশ’কে ‘ভালোবেসেই’ ফ্যাসিস্ট পরিচয় রাজনীতি নিয়া হাজির।

‘ভালোবাসা’ যে জুলুম আর ফ্যাসিবাদের রুপ নিতে পারে- তা ভাবার সময় এনাদের ‘ভালোবাসা’র সময়ে কই? গভীরভাবে পুরুষতান্ত্রিক এই ভালোবাসাই কালে কালে ফ্যাসিস্টরা বেসে আসতেছে।

ঔপনিবেশিক আধুনিকতা, তার পুঁজিবাদ ও রাষ্ট্রধারণার ছায়ায় বেড়ে ওঠা সম্প্রদায়বাদী, শতাংশের বড়াইবাদী, ব্রাহ্মণ্য আর আশ্রাফত্ববাদী, সমরুপতাবাদী, কেন্দ্রবাদী, আধিপত্যবাদী, জাতীয়তাবাদী/ জাতি ও অন্যান্য পরিচয়ভিত্তিক রাষ্ট্রবাদী/ সীমানাবাদী, উন্নয়ন আর পুঁজিবাদী চোখে দুনিয়া দেখা আর সমাজ-দেশ নিয়া ভাবার বাইরে, ‘দেশ’ এবং ‘জাতি’কে ভালোবাসার, দুনিয়ায় অধিকার, সাম্য, মর্যাদা আর ইনসাফের চর্চার আর কোনো ভাব, পদ্ধতি, উপায় সম্পর্কে এদের জানা-বোঝার আগ্রহ, ইচ্ছা, খেয়াল, দরকারবোধ- কিছুই নাই।

এদের এই প্রেম আর ভালোবাসা থিকা, খোদা, রক্ষা করো!